বিস্তারিত ব্লগ

প্রচ্ছদ / বিস্তারিত ব্লগ

দারুল কুরআন মাদরাসার ১৩তম হাফেয মো. রোহান



storage/app/দারুল কুরআন মাদরাসার  ১৩তম হাফেয মো. রোহান তাড়াইলের বুকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দারুল কুরআন মাদরাসা। প্রতিষ্ঠার ৬ষ্ঠ বর্ষে এসে মনে হচ্ছে যুগোপযোগী ও অত্যাধুনিক মানসম্মত একটি হিফয বিভাগ গড়তে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে দারুল কুরআন। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা সদরে। অদ্য ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি, ১৫ কার্তিক ১৪৩০ বাংলা, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ঈসায়ী, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার পরপরই হিফয জীবনের শেষ সবক শুনিয়ে মাদরাসার ১৩তম হাফেয হিসেবে যুক্ত হলো মো. রোহান। পবিত্র কুরআনের হিফয সম্পন্ন করার আনন্দময় মুহূর্তে রোহানের পাশে থেকে সাহস যুগানোর জন্য ভোর রাতে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এমদাদুল্লাহ্। তিনিই তার শেষ সবক শুনেন। এসময় রোহানের উস্তাদ, হিফয বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেয মাওলানা সোহাইল আহমাদ ও রোহানের মাদরাসা জীবনের প্রথম উস্তাদ, নাযেরা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাফেয হোসাইন আহমাদ উপস্থিত ছিলেন। মো. রোহান ২০০৮ সালের ৮ জুলাই নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। তার পিতা মো. নূরুল হক তাড়াইল সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মাতা সাবিনা ইয়াসমিন গৃহিণী। রোহান তাড়াইল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি শেষ করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর দারুল কুরআনে নুরানি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। দারুল কুরআনের সেটি ছিল প্রতিষ্ঠার বছর। দারুল কুরআন যে ১১জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তাদের একজন রোহান। কিন্তু সপ্তাহ যেতে না যেতেই ব্যত্যয় ঘটে। রোহান মাদরাসা থেকে চলে যায়। ভর্তি হয় অন্যত্র। বিভিন্ন মাদরাসায় নুরানি, নাযেরা সম্পন্ন করে হিফয অর্ধেক হওয়ার পর ২০২২ সালের ২৬ জুন পুনরায় দারুল কুরআন মাদরাসায় এসে ভর্তি হয়। কিন্তু মাঝখানে চলে যায় সাড়ে চার বছর। এই সময়ের মধ্যে দারুল কুরআনের শুরুতে রোহানের সাথে ভর্তি হওয়া তার সহপাঠী অনেকেই হাফেয হয়ে যায়। এমনকি রোহানের একবছর পর যারা দারুল কুরআনে ভর্তি হয়েছিল তাদের মধ্যেও কেউ কেউ আরো বছর দুয়েক আগেই হিফয সম্পন্ন করেছে। রোহান মাদরাসা পরিবর্তন করার কারণে তার জীবন থেকে অতিরিক্ত দুই/ তিনটি বছর নষ্ট হয়ে যায়। যাক, সেটা বুঝতে পেরে নতুনভাবে প্রতিজ্ঞা করে দারুল কুরআনের উস্তাদদের দিকনির্দেশনাকে পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে নতুন উদ্যমে পড়া শুরু করে। এক বছর চার মাস সময় নিয়ে আজ সে হিফয সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌। তার খতমে কুরআন উপলক্ষে অদ্য বাদ ফযর হিফয বিভাগ ও নাযেরা বিভাগের ছাত্র, শিক্ষকদের নিয়ে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।